সন্তান সহ স্ত্রী কে ডিভোর্স দেয়ার দুই মাস পরে যুবকের আত্মহত্যা।
নিউজ ডেক্স
নিউজ প্রকাশের তারিখ : Jan 22, 2025 ইং
বিশেষ প্রতিবেদকঃ বরগুনা"র আমতলী পৌরসভা'র নিয়াজ মোর্শেদ তন্ময় নামের এক যুবক মেয়ে সহ স্ত্রী কে ডিভোর্স দেয়ার ২মাস পরে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্টাটাস দিয়ে বিষপান করে আত্মাহত্মা করেন বলে এমনটাই শোনা যায়।
যানা যায় আমতলী পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের নান্নু মোল্লার ছেলে নিয়াজ মোর্শেদ তন্ময়ে'র সাথে উপজেলার চাওরা ইউনিয়নের ফারুক গাজী"র মেয়ে ফারিয়া জান্নাত মীমে"র সাথে বিগত ৬বছর আগে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। তাদের ঔরসে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। পারিবারিক কলহের যের ধরে তাদের দাম্পত্য জীবন হয়ে ওঠে আরো দুষ্কর। এরই ধারাবাহিকতায় নারী ও শিশু নির্যাতন ট্র্যাবুনালে জি আর ১৮৬/২৪(আম)মামলা দায়ের করিলে উভয় পক্ষ সমযোতার মাধ্যমে, ১. এম এ কাদের মিয়া(এ্যাড.আমতলী, বরগুনা) ২.নুরুল ইসলাম শানু(এ্যাড. আমতলী, বরগুনা), ৩.হরিহর চন্দ্র দাস (এ্যাড.আমতলী, বরগুনা), ৪.গোলাম দেলোয়ার হোসেন (এ্যাড.আমতলী, বরগুনা) শালিসগন অচল নামা সম্পাদন পূর্বক উপরোক্ত শালিস গনের প্রাকটিসরত বসার কক্ষে বসে শালিসি কার্যক্রম করেন। এসময় উপরোক্ত শালিস গন উভয় পক্ষের শুভিধার্থে উপস্থিত কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে এবং নিরপেক্ষ সাক্ষীদের বক্তব্য মোতাবেক ও কাগজপত্রের ভিত্তিতে ( নিয়াজ মোর্শেদ তন্ময় তাহার স্ত্রী ফারিয়া জান্নাত মীম কে বিগত ২৪/০৯/২০২৪ তারিখ প্রথম রেজিস্ট্রি তালাক প্রধান ও ২৭/১০/২০২৪ ২য় রেজিস্ট্রি তালাক প্রধান করায়) এরই ধারাবাহিকতায় তাহাদের আর স্বামী - স্ত্রী হিসেবে সংসার করা সম্ভব নয় বলে(২৩/১১২০২৪)তারিখ রোয়েদাদ নামার মাধ্যমে উক্ত শালিস গন উভয় পক্ষের ভবিষ্যতে শান্তির জন্য আপোষ নিস্পত্তি করেন।
রোয়েদাদে উল্লেখিত সকল সর্তে উভয় পক্ষের সম্মতি থাকা সত্ত্বেও ২৯/১১/২০২৪ তারিখ ( ফেজ বুক পোস্টের তারিখ মোতাবেক) রাত ০১টার দিকে(কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে) বিষ পান করে বিগত দিনের অভিযোগ উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেজবুক পোস্ট করেন এবং ঐ রাতেই স্বজনরা তাকে আমতলী উপজেলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বরিশাল রেফার করেন।
৩০/১১/২০২৪ তারিখ বেলা ০১টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
লোকমুখে শোনা যায় তন্ময় মৃত্যুর আগমুহুর্তে যখন মৃত্যু যন্ত্রণায় ছট ফট করছিলেন বার বার নিজ সন্তান একমাত্র কন্যা মিফতা'কে কাছে চেয়েছিলো কিন্তু কাছে পায় নি। তন্ময়ের বারির লোকজনের অভিযোগ করেন মিফতা তখন তার মায়ের কাছে ছিলো, এই বিষয়ে মীম ও তার বাবা ফারুক গাজী'র কাছে জানতে চাইলে তারা জানান তন্ময় বিষপান করে ২৯/১১/২০২৪ রাত ১টার দিকে আর তন্ময়'র বোন এ্যাড. তানিয়া (২৯/১১/২০২৪) ঐ দিন সকাল ১১টা ৩০ মিনিট এর সময় মিফতাকে নিয়ে যায়, যার ভিডিও ফুটেজ তাহাদের নিকট রয়েছে বলে এমনটাই বলেন। একই সাথে তারা আরো বলেন তন্ময় মারা যায় ৩০/১১/২০২৪ তারিখ দুপুর ১টার সময়, তন্ময় মৃত্যুর সময় যখন তার একমাত্র মেয়েকে দেখতে চেয়েছে তারা কেনো দেখায়নি তাকে,মেয়ে তো তাদের কাছে ছিলো,আমাদের কেনো দোষারোপ করা হয়েছে। আমাদের মেয়ে কে যখন তন্ময় নিজেই ডিভোর্স দিয়েছে রোয়েদাদ নামার মাধ্যমে শালিসি হয়েছে, সেখানে আমাদের কেনো দোষারোপ করা হচ্ছে, আমার মেয়ে তো তন্ময়কে ডিভোর্স দিয়েছিলো না, আমরা আরো ডিভোর্স আটকানো চেষ্টা করেছি, মীমাংসার পথ খুঁজেছি, আমাদের এক মাত্র নাতনি মিফতার কথা ভেবে । তারা তো আমাদের কথা রাখলই না। যে হেতু আমার মেয়েকে ডিভোর্স দিয়েছে, শালিস গনের উপস্থিতিতে রোয়েদাদ নামার মাধ্যমে শালিসগন একটা সমাধান দিয়েছেন, তাহলে আমাদের নামে কেনো মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে, আমাদের কী দোষ ছিলো, তাদের সাথে তো আমাদের কোনো সম্পর্কই নাই তারাই তো সব শেষ করে দিয়েছে , আমার নিরিহ ভাতিজাকে কেনো অগ্রিম ধরে নিয়ে থানায় বসিয়ে রেখে মামলা দায়ের করে এরেস্ট করা হয়েছে। আমি এই ঘটনার তদন্ত পূর্বক সঠিক বিচার কামনা করি।এমনটাই জানিয়েছেন মেয়ের বাবা মোঃ ফারুক গাজী। তন্ময়ের স্ত্রী মিম বলেন, আমি তো নিজের ইচ্ছায় আমার স্বামী কে ডিভোর্স দেই নি, জীবন চলার মাঝে ভুল বোঝা বুঝি হতেই পারে, সে আমাকে ২বার ডিভোর্স পাঠিয়েছে এখন তার পরিবার মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করছে, তিনি কান্না জরিত কন্ঠে আরো বলেন আজ কত দিন হলো আমার মেয়েটা তাদের কাছে আছে কী রকম আছে আমি তাও জানি না। মেয়ের বাবা মারা যাবার আগেই তো মেয়ের ফুফু মেয়ে কে নিছে, মেয়ে ছোট মানুষ আমাকে ছেরে যেতে চায় নি যোর করে দিয়েছি, তাও কেনো তার বাবার শেষ সময় মেয়েটা সামনে দেয় নি, আজ মেয়েটা কেমন আছে আমি জানি না, আমি আমার মেয়কে চাই বলে এমনটাই আহযারী করেন তন্ময়ের স্ত্রী মিম। তাদের পরিবারের দাবি আমাদের মেয়েকে ২মাস আগে ডিভোর্স দিয়ে নিজেই কেনো বিষপান করল। তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচার চান ফারিয়া জান্নাত মিমের পরিবার।
আপনার মতামত লিখুন :