ফুল দেওয়ার প্রলোভনে স্কুলছাত্রীকে নিয়ে হত্যা!
নিউজ ডেক্স
নিউজ প্রকাশের তারিখ : Jan 23, 2025 ইং
জেলা প্রতিবেদকঃ গোলাপ ফুল দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে খেলার মাঠ থেকে স্কুলছাত্রী আদিবাকে নিয়ে যাওয়া ইমন নামের এক যুবক। নিখোঁজের তিন দিন পর শিশু আদিবা ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকালে চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার নায়েরগাঁও ইউনিয়নের পাঁচদোনা গ্রামের ময়লার একটি স্তূপ থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত ২০ জানুয়ারি বিকালে সহপাঠীদের সঙ্গে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় ৭ বছরের শিশু আদিবা।সে স্থানীয় একটি স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। আদিবা পাঁচদোনা গ্রামের প্রবাসী আলাউদ্দিন প্রধানীয়ার মেয়ে।
আদিবার সহপাঠী তাসফিয়ার তথ্যমতে, গোলাপ ফুল দেওয়ার কথা বলে ইমন নামের এক যুবক আদিবাকে নিয়ে যায়। সেই সূত্র ধরে আদিবার মা মতলব দক্ষিণ থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন।ওই মামলায় পুলিশ একই গ্রামের ইমন ও ইয়াছিন নামের দুইজনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়।
এলাকাবাসী ও পরিবার জানায়, শিশু আদিবা নিখোঁজের পর থেকে মাইকিং ও বিভিন্নভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়েছে।
এদিকে, পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করলেও আদিবার সন্ধান দিতে না পারায় বৃহস্পতিবার এলাকায় মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়রা। এরপর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ওই এলাকায় গিয়ে বিভিন্ন পুকুর ও নির্জনস্থানে আদিবাকে খুঁজতে শুরু করে।এক পর্যায়ে তারা ময়লার স্তুপের ভেতর মৃত আদিবার সন্ধান পায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় আদিবার সহপাঠী তাসফিয়া। এসময় আদিবার মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে সে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তাসফিয়া বলেন, ‘আদিবার সঙ্গে আমি যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ইমন আমাকে ধমক দিয়ে বসিয়ে রাখে।পরে আদিবার জন্য অনেকক্ষণ বসেছিলাম। কিন্তু ইমন আর আদিবা কেউই আসেনি।’ তাসফিয়া আরো বলেন, ‘আদিবাকে একটি গোলাপ ফুল দিবে বলে আমার কাছ থেকে নিয়ে যায় ইমন।’
আদিবার পরিবারের সদস্যরা জানান, আদিবার সঙ্গে ইমনের কোনো শত্রুতা ছিল কিনা তা আমাদের জানা নেই।
মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সালেহ আহম্মেদ বলেন, নিখোঁজের পর থেকেই আমাদের তদন্ত কাজ চলছে। ইতোমধ্যে অপহরণ মামলা নিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। কেনো এবং কি কারণে শিশুটি হত্যা করা হয়েছে তা ওই দুজনকে রিমান্ডে নিলে জানা যাবে।
তিনি আরো বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শুক্রবার চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :