বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল আমদানি বন্ধের আলটিমেটাম
নিউজ ডেক্স
নিউজ প্রকাশের তারিখ : Feb 3, 2025 ইং
বাণিজ্য ডেস্কঃ ফল আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্কারোপ করায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল আমদানিতে ধস নামতে শুরু করেছে। অতিরিক্ত শুল্ককর প্রত্যাহার করা না হলে ফল আমদানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন আমদানিকারকরা।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল আমদানি কমে অর্ধেকেরও নিচে নেমে এসেছে। ফলে বড় ধরনের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।এই বন্দর দিয়ে শুধু ফল আমদানি থেকে প্রতিদিন ২৫ কোটি টাকার রাজস্ব আয় হতো। সেটি বর্তমানে এসে দাঁড়িয়েছে পাঁচ কোটিতে।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে রাজস্ব আয়ের একটি বড় অংশ আসে ফল আমদানির খাত থেকে। আর মাত্র কয়েক দিন আছে পবিত্র রমজান।
দেশে রমজান মাসে ফলের চাহিদা একটু বেশি থাকে। রমজানের আগে ফলের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক কর আরোপ করায় ব্যবসায়ীরা ফল আমদানি বন্ধের আলটিমেটাম দিয়েছেন। এই বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৭০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের ফল আমদানি হতো। সেটি বর্তমানে ২০ থেকে ২২ ট্রাকে এসে দাঁড়িয়েছে।হঠাৎ করে গত মাসের ৯ জানুয়ারি আমদানি করা তাজা ফলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করে সরকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাজারে আমদানীকৃত ফলের সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারে দাম বেড়েছে সব ধরনের ফলের, যা সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। উচ্চ শুল্কের কারণে ব্যবসায়ীরা আগের মতো ফল আমদানি করতে পারছেন না। আসন্ন রমজানে ফল আমদানির ওপর অতিরিক্ত শুল্ককর প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
আমদানি ও রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান বলেন, ফল আমদানিতে সরকার হঠাৎ করে সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করেছে।
যার প্রভাব পড়েছে বেনাপোলসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দরের ওপর। যার কারণে আমদানি একদম শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। এর ফলে ঢাকার বাদামতলীর ফল ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশন মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে ফল আমদানি বন্ধের আলটিমেটাম দিয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার সুশান্ত পাল জানান, কয়েক মাস ধরে ফলের আমদানি কমে গেছে। এর ওপর সরকার অতিরিক্ত শুল্কারোপ করেছে। আগে প্রতিদিন এই বন্দর দিয়ে ৫০ থেকে ৬০ ট্রাক ফল আমদানি হতো। মাত্র কয়েক দিনে তা অর্ধেকে নেমে এসেছে। এভাবে চললে আগামী দিনে দাম বাড়ার পাশাপাশি ফলের সংকট দেখা দিতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :