• ঢাকা
  • | বঙ্গাব্দ
Bongosoft Ltd.

নতুন নির্বাচনে কেউ জিতলে বা পরাজিত হলে অন্যরা সন্দেহ করবে না : প্রধান উপদেষ্টা


FavIcon
নিউজ ডেক্স
নিউজ প্রকাশের তারিখ : Feb 16, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন: ad728

অনলাইন ডেস্কঃ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নতুন বাংলাদেশ মানে নতুন নির্বাচন। এই নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার গঠন হবে তার ব্যাপারে কেউ প্রশ্ন তুলবে না।

শনিবার (ফেব্রুয়ারি ১৫) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। 

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আগামীতে আইন-কানুন এবং সংস্কারের মাধ্যমে নির্বাচনে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে।নির্বাচনে কেউ জিতলে পরাজিত হলে অন্যরা সন্দেহ করবে না। ভাববে না যে কলকাঠি নেড়ে কাউকে জিতিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেটার ব্যাপারে আইন-কানুন সবার জানা থাকবে, এটা নড়চড় করার উপায় কারো থাকবে না। আইন-কানুন বানানোর পরে সেটা নড়চড় করার সুযোগ থাকবে না সে জন্যই এত বড় কমিশন করতে হয়েছে।

তিনি বলেন, এই যে আইন-কানুন, নীতিমালা বানিয়ে দেব। একবার বানিয়ে দিলে তারপর থেকে চলতে থাকবে। একটা ট্রান্সপারেন্ট খেলা হবে। খেলায় জিতলে কেউ সন্দেহ করবে না যে কেউ জিতিয়ে দিয়েছে।এত ট্রান্সপারেন্ট যে, কেউ সন্দেহ করবে না।

ড. ইউনূস বলেন, ‘এখন যে খেলা চলছে, ঠিকমতো জিতলেও সন্দেহ করে। বলে কিছু একটা কলকাঠি নেড়ে করেছে। এই কলকাঠি নাড়ার বিষয়টি আমাদের মনের ভেতর গেঁথে গেছে। কলকাঠি ছাড়া যে দেশ একটা নিয়মে চলতে পারে সেটা আমরা ভুলে গেছি।’

সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, এটা সবার স্বপ্ন। এই স্বপ্ন আমরা এমন মজবুতভাবে বানাব যা সবাই মেনে চলবে। এই মেনে চলার মাধ্যমে আমরা একটা সুন্দর সমাজ, সুন্দর রাষ্ট্র উপহার দিতে পারব। সেই উদ্দেশ্যেই আজকের সভা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রচণ্ড সুযোগ এখন। সুযোগ এ জন্যই যে আমাদের মধ্যে ঐকমত্য সৃষ্টি হলে আমরা সেগুলো কাজে লাগাতে পারি এমন পর্যায়ে আছি আমরা। একবার কাজে লাগালে সেটা বংশ, প্রজন্ম ও পরম্পরায় সেটা চলতে থাকবে। একটা সুন্দর দেশ আমরা পাব। এই ভাবনা থেকেই আমরা এগুলো গ্রহণ করব।’

অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে মন্তব্য করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাসে প্রথম ইনিংস বা প্রথম অধ্যায় শেষ হয়েছে। আজ রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হলো। আলোচনাটা কত সুন্দর হবে, কত মসৃণ হবে সেটা আপনাদের ওপর নির্ভর করবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে আমরা সুপারিশগুলো উপস্থাপন করব। কমিশনের সদস্যরা এখানে রয়েছেন এগুলো ব্যাখ্যা করার জন্য, চাপিয়ে দেওয়ার জন্য না। চাপানোর ক্ষমতা আমাদের নাই। আমরা শুধু আপনাদের বোঝানোর জন্য।’

সংস্কার বাস্তবায়ন সবার দায়িত্ব উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আপনাদের সহযোগিতা চাই এটা বলব। কারণ, এটা আপনাদের কাজ। এটা আমার কাজ না, একার কাজ না। যেহেতু আপনারা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন আপনাদের বলতে হবে সমাজের কল্যাণে কোন কোন জিনিস করতে হবে, কিভাবে করতে হবে। যেটা এক্ষুণি করা যাবে বলবেন। যেটা এক্ষুণি করা দরকার, সামান্য রদবদল থাকলে সেটা করে দেন। আমরা শুধু সাচিবিক কাজগুলো আপনাদের করে দিলাম।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা একটা লণ্ডভণ্ড অবস্থার মধ্য দিয়ে দায়িত্ব নিয়েছি। চেষ্টা করেছি এটাকে কোনো রকমে সফল করতে। এই ৬ মাসের যে অভিজ্ঞতা সেটা আমাদের সবাইকে প্রচণ্ড সাহস দেবে। এই ৬ মাসের অভিজ্ঞতা হলো, দল-মত-নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ সবাই সমর্থন দিয়েছে এই অন্তর্বর্তী সরকারকে। কাজেই আমরা প্রথম পর্বের পর দ্বিতীয় পর্বে এলাম। দ্বিতীয় পর্বে যেন আমরা আনন্দের সঙ্গে, খুশি মনে সম্পন্ন করতে পারি।’