
বানিজ্য ডেস্কঃ আবুধাবি চেম্বারের দ্বিতীয় ভাইস-চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহমিজ আলী আল দাহিরি বলেছেন, বাংলাদেশের বিপুল পরিমাণ তরুণ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করা গেলে ইউএইসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিনিয়োগপ্রাপ্তি বাংলাদেশের জন্য আরো সহজ হবে। সেইসঙ্গে বাংলাদেশে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে ইউএই-এর পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১ হাজার ৩৫২ দশমিক ৯ মিলিয়ন ও ৪০২ দশমিক ৬৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তিনি বলেন, ইউএই-এর উদ্যোক্তারা ইতিমধ্যে বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশে ৩২১ দশমিক ৬৭ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ করছে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি, অবকাঠামো ও লজিস্টিক, তথ্য-প্রযুক্তি, পর্যটন ও স্বাস্থ্যসেবা প্রভৃতি খাতে নতুন বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানান।বাংলাদেশ থেকে তথ্য-প্রযুক্তি, টেক্সটাইল ও প্রকৌশল শিল্পে দক্ষ জনশক্তি নিয়োগের পাশাপাশি কৃষিজাত পণ্য, তৈরি পোষাক, পাটজাত পণ্য, ঔষধ প্রভৃতি পণ্য আমাদানির উপর জোরারোপ করেন ডিসিসিআই সভাপতি।
আবুধাবির বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনার উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আবুধাবি ইনভেস্টমেন্ট অফিস-এর হেড অব ইনভেস্টর এনগেইজমেন্ট ওমর আল হোসাইনী। অন্যদিকে ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনার উপর তথ্য-চিত্র উপস্থাপন করেন।
রিজওয়ান রাহমান বলেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের প্রচুর সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও তা এখনো কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্প্রসারণে দুদেশের উদ্যোক্তাদের আরো সম্পৃক্তকরণ জরুরী। সেই সাথে তিনি বাংলাদেশের অবকাঠামো, লজিস্টিক, স্থল ও সমুদ্রবন্দর সমূহের সেবা উন্নয়ন, টেকসই জ্বালানি প্রভৃতি খাতে বিনিয়োগের জন্য আবুধাবির উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
বাণিজ্য আলোচনা সভা শেষে আবুধাবি চেম্বারের সদস্যভুক্ত প্রায় ৩৫টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দের সাথে ঢাকা চেম্বারের প্রতিনিধিদলের সদস্যদের বিটুবি নেটওয়ার্কিং সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
আপনার মতামত লিখুন :