• ঢাকা
  • | বঙ্গাব্দ
Bongosoft Ltd.

বিস্ফোরকবোঝাই গাড়িসহ পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলা, ৭ শিশুসহ নিহত ১২


FavIcon
নিউজ ডেক্স
নিউজ প্রকাশের তারিখ : Mar 5, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন: ad728

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের একটি নিরাপত্তা স্থাপনায় বিস্ফোরণে ৭ শিশুসহ কমপক্ষে ১২ জন বেসামরিক নিহত হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ায় একটি নিরাপত্তা স্থাপনায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও উদ্ধারকারী সংস্থা বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দুইজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী বিস্ফোরকভর্তি দুটি গাড়ি নিয়ে ওই নিরাপত্তা স্থাপনার দেয়ালে ধাক্কা দেয় এবং বিস্ফোরণ ঘটনায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাসিন্দারা রমজানের রোজা ভাঙার পরপরই এবং স্থানীয় বাজারে ক্রেতাদের ভিড়ের মধ্যে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বিস্ফোরণে কাছের একটি মসজিদের ছাদ ভেঙে পড়ে। 

কর্মকর্তা বলেন, বিস্ফোরণের পর সশস্ত্র আরো যোদ্ধারা সামরিক স্থাপনায় প্রবেশের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনী তাদের চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়। এর মধ্যে গুলি বিনিময়ে ছয় যোদ্ধা নিহত হয়েছে বলেও কর্মকর্তা জানান।

বান্নু হাসপাতালের মুখপাত্র মুহাম্মদ নওমান বলেন, হামলায় ১২ জন নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়েছেন। তারা সবাই বেসামরিক নাগরিক। বিস্ফোরণে ভবন ধসের ফলে দেয়ালের নিচে চাপা পড়েছিলেন তারা। হাসপাতালের একটি তালিকা থেকে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে সাতজন শিশু রয়েছে।
স্থানীয় রেসকিউ ১১২২ পরিষেবা জানিয়েছে, তারা ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আরো হতাহতের সন্ধান করছে। ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ধ্বংসস্তূপের ভেতর বাসিন্দারা হতাহতদের খুঁজছেন।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘পাকিস্তানের শত্রুদের অশুভ উদ্দেশ্য কখনোই সফল হতে দেওয়া হবে না।’ এই হামলার পেছনে কারা ছিল তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।

তবে আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান তালেবানের সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেছে এবং বলেছে, পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর বহু সদস্য নিহত হয়েছে। কিন্তু সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, বিস্ফোরণে ‘দুটি চার ফুট লম্বা গর্ত’ তৈরি হয়েছিল। এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, এলাকার কমপক্ষে আটটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জৈশ আল-ফুরসান এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।

এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি বলেছে, বিস্ফোরণের উৎস ছিল বিস্ফোরকবোঝাই যানবাহন। খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গন্ডাপুর এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন এবং বলেছেন, তিনি বিস্ফোরণের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্রতিবেদন চেয়েছেন। রবিবার রমজান শুরু হওয়ার পর থেকে পাকিস্তানে এটি তৃতীয় হামলা।

পাকিস্তানের একটি ইসলামী ধর্মীয় স্কুলে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ছয়জন নিহত হওয়ার কয়েক দিন পর এই হামলার ঘটনা ঘটল।
সাম্প্রতিক সময়ে আফগান সীমান্তের কাছের এলাকাগুলোতে পাকিস্তানি পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে পাকিস্তানি তালেবান (টিটিপি) ইসলামপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামলা বাড়িয়েছে।

সূত্র : রয়টার্স, আলজাজিরা