প্রতিবেদনে বলা হয়, দুইজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী বিস্ফোরকভর্তি দুটি গাড়ি নিয়ে ওই নিরাপত্তা স্থাপনার দেয়ালে ধাক্কা দেয় এবং বিস্ফোরণ ঘটনায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দুইজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী বিস্ফোরকভর্তি দুটি গাড়ি নিয়ে ওই নিরাপত্তা স্থাপনার দেয়ালে ধাক্কা দেয় এবং বিস্ফোরণ ঘটনায়। কর্মকর্তা বলেন, বিস্ফোরণের পর সশস্ত্র আরো যোদ্ধারা সামরিক স্থাপনায় প্রবেশের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনী তাদের চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়। এর মধ্যে গুলি বিনিময়ে ছয় যোদ্ধা নিহত হয়েছে বলেও কর্মকর্তা জানান। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘পাকিস্তানের শত্রুদের অশুভ উদ্দেশ্য কখনোই সফল হতে দেওয়া হবে না।’ এই হামলার পেছনে কারা ছিল তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়। আলজাজিরার প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, বিস্ফোরণে ‘দুটি চার ফুট লম্বা গর্ত’ তৈরি হয়েছিল। এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, এলাকার কমপক্ষে আটটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জৈশ আল-ফুরসান এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি বলেছে, বিস্ফোরণের উৎস ছিল বিস্ফোরকবোঝাই যানবাহন। খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গন্ডাপুর এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন এবং বলেছেন, তিনি বিস্ফোরণের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্রতিবেদন চেয়েছেন। রবিবার রমজান শুরু হওয়ার পর থেকে পাকিস্তানে এটি তৃতীয় হামলা। পাকিস্তানের একটি ইসলামী ধর্মীয় স্কুলে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ছয়জন নিহত হওয়ার কয়েক দিন পর এই হামলার ঘটনা ঘটল। সূত্র : রয়টার্স, আলজাজিরা
সাম্প্রতিক সময়ে আফগান সীমান্তের কাছের এলাকাগুলোতে পাকিস্তানি পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে পাকিস্তানি তালেবান (টিটিপি) ইসলামপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামলা বাড়িয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :