• ঢাকা
  • | বঙ্গাব্দ
Bongosoft Ltd.

শুল্ক ইস্যুতে পদক্ষেপ জানিয়ে ট্রাম্পকে চিঠি দেবেন প্রধান উপদেষ্টা


FavIcon
নিউজ ডেক্স
নিউজ প্রকাশের তারিখ : Apr 6, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন: ad728

অনলাইন ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত বাড়তি শুল্ক ইস্যুতে পদক্ষেপ জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি দেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য দপ্তরেও পৃথক চিঠি পাঠানো হবে।

চিঠি দুটি আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে পাঠানো হবে, বলে জানান তিনি।

রবিবার (৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

শফিকুল আলম বলেন, বৈঠকে চারজন উপদেষ্টা, একজন উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি, একজন স্পেশাল অ্যাম্বাসেডর, দশজনের মতো সচিব এবং বড় ব্যবসায়ীদের মধ্য থেকে চারজন প্রতিনিধি ছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, প্রতিনিয়ত তাদের (যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি) সঙ্গে আমরা কথা বলছি। ঢাকায় তাদের দূতাবাসের কর্মকর্তা ছাড়াও ইউএসটিআরের কর্মকর্তারা রয়েছেন।

আমাদের যেটা ডিসিশন, আমরা দুটি চিঠি দেবো। দুটিই আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যাবে। একটা চিঠি যাবে আমাদের প্রধান উপদেষ্টার তরফ থেকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে। আরেকটা চিঠি যাবে আমাদের বাণিজ্য উপদেষ্টার তরফ থেকে ইউএসটিআরের কাছে।
চিঠিতে কী থাকবে- সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, চিঠিতে কী কী থাকবে, কী ধরনের ভাষা ব্যবহার করা হবে সেটা নিয়েই আলোচনা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, চিঠিতে যাই থাকুক সেটা আমাদের বিজনেসবান্ধব হবে। আমাদের বাংলাদেশের বিজনেসের স্বার্থটা দেখা হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে কম্পিটিটিভ যেসব দেশ আছে তাদের চেয়ে আমরা আরও বিজনেসবান্ধব হবো, এই চিঠিটা যাবে। আরও বেশি বিজনেসবান্ধব হবে, যাতে ইউএসএ এবং আমাদের জন্য উইন উইন সিচুয়েশন হয় এবং আমাদের জন্য মার্কেট এক্সেসটা আরো বাড়ে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ প্রধান উপদেষ্টা। তিনিই শুল্ক ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করবেন।’

যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন দেশের আমদানি পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এ ঘোষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশি পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ৩৭ শতাংশ করা হয়েছে। যেখানে এত দিন বাংলাদেশি পণ্যে গড়ে ১৫ শতাংশ করে শুল্ক ছিল।