‘বৈসাবি’ শব্দটি যেভাবে এসেছে
নিউজ ডেক্স
নিউজ প্রকাশের তারিখ : Apr 12, 2025 ইং
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পার্বত্য চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে বৈসাবি উৎসব। আজ শনিবার রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী এ উৎসব শুরু হয়। এটি পাহাড়ে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অন্যতম বৃহত্তম ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব।বৈসাবি উৎসব ঘিরে পাহাড়জুড়ে বইছে আনন্দের বন্যা।সকালে রাজবনবিহার, গর্জনতলী ত্রিপুরা এলাকা, কেরানী পাহাড়সহ জেলা-উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় ফুল ভাসানোসহ চলছে বৈসাবির বর্ণাঢ্য আয়োজন।
বৈসাবিকে চাকমা ভাষায় ‘বিজু’, ত্রিপুরাদের ভাষায় ‘বৈসুক’, মারমাদের ভাষায় ‘সাংগ্রাই’, তংচঙ্গ্যাদের ভাষায় ‘বিজুু’ এবং অহমিয়াদের ভাষায় ‘বিহু’ নামে আখ্যায়িত করা হয়।গত শতকের নব্বই দশক থেকে বিভিন্ন নামের একই উৎসব অভিন্ন নামে ‘বৈসাবি’ হিসেবে উদযাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। গঠিত হয় বৈসাবি উদযাপন কমিটি।অনেকের মনে করেন, পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐক্যের প্রয়োজনেই বৈসাবি শব্দটি এসেছে।
জানা গেছে, পাহাড়ের বর্ষবিদায় ও বরণ উপলক্ষে ১৯৮৭ সালে রাঙামাটি কলেজে একটি দেয়ালিকা প্রকাশিত হয়। পাহাড়ে বসবাসরত বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর উৎসবের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে ‘বৈসাবি’ নামকরণ করা হয় দেয়ালিকাটির। ওই নামটি পরে পাহাড়ি বিভিন্ন সংগঠনের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।সামরিক শাসনের সেই সময়ে কোনো সংগঠনের নামে উৎসব, শোভাযাত্রা করা সম্ভব ছিল না। এ জন্য পাহাড়ের সব জাতিগোষ্ঠীকে একই সাংস্কৃতিক সংহতির গাঁথুনিতে নিয়ে আসার জন্য ‘বৈসাবি’ নামে প্ল্যাটফরম করা হয়েছিল।
আপনার মতামত লিখুন :