
বিশেষ প্রতিবেদকঃ দেশের শিল্পগ্রুপ প্রাণ-আরএফএল প্রথমবারের মতো সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট বা টেকসই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। 'সমৃদ্ধ আগামীর লক্ষ্যে, জীবনের পরিচর্যা' শীর্ষক প্রতিপাদ্যের উপর রচিত প্রতিবেদনটিতে ৮টি মৌলিক স্তম্ভের উপর নির্মিত প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের টেকসই কৌশল তুলে ধরা হয়েছে। আটটি মৌলিক স্তম্ভগুলোর মধ্যে রয়েছে- সাসটেইনেবল পণ্য, সাসটেইনেবল প্যাকেজিং, কৃষি, পানি ও এনার্জি।
আজ রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত প্রতিবেদটির প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ্বাস। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান খান চৌধুরী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে 'টেকসই কৃষি: চ্যালেঞ্জ এবং করণীয়' এবং 'সাসটেইনেবিলিটি অর্জনে কর্পোরেট নেতৃত্বের ভূমিকা' শীর্ষক দুটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা ব্যবসা করার ক্ষেত্রে সাসটেইনেবিলিটির গুরুত্ব এবং এটি নিশ্চিত করতে অংশীজনদের ভূমিকা তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ শফিকুল আলম বলেন, এই প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে প্রাণ- আরএফএল কর্পোরেট সেক্টরের জন্য একটি প্রশংসনীয় উদাহরণ স্থাপন করেছে। এর মাধ্যমে সমাজের জন্য দীর্ঘমেয়াদী ভ্যালু তৈরি করার পাশাপাশি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তাদের চিন্তাভাবনার প্রতিফলন ঘটেছে।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান খান চৌধুরী বলেন, প্রথম প্রতিবেদনটি সাসটেইনেবিলিটির প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। এই প্রতিবেদনটি প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের টেকসই যাত্রায় একটি যুগান্তকারী মুহূর্তকে নির্দেশ করে। পুরো প্রতিবেদন জুড়ে 'সমৃদ্ধ আগামীর লক্ষ্যে, জীবনের পরিচর্যা' শীর্ষক প্রতিপাদ্যের প্রতিফলন ঘটেছে, যেখানে ব্যাপকভাবে জীবিকা বৃদ্ধির জন্য এবং একটি পরিচ্ছন্ন ও সবুজ বিশ্বে অবদান রাখার জন্য আমরা যে পথগুলো নির্ধারণ করেছি সেগুলো চমৎকারভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
সাসটেইনেবিলিটি সংক্রান্ত প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের লক্ষ্যসমূহের মধ্যে রয়েছে- জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ১০০ শতাংশ বিনিয়োগ করা, ২০৩০ সালের মধ্যে শতভাগ প্লাস্টিক রিসাইক্লিং করা, কৃষি-পণ্য ও দুগ্ধজাত পণ্যের ৯০ শতাংশ কাঁচামাল স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা, সকল কারখানায় পানির ব্যবহার ৩০ শতাংশ হ্রাস করা, জ্বালানির ব্যবহার ২০ শতাংশ হ্রাস এবং কারখানায় ব্যবহৃত মোট জ্বালানির ২৫ শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদন করা।
আপনার মতামত লিখুন :