• ঢাকা
  • | বঙ্গাব্দ
Bongosoft Ltd.

প্রতিবেশীর হেনস্থার শিকার মা ও চার বোনকে খুন করেন আরশাদ!


FavIcon
নিউজ ডেক্স
নিউজ প্রকাশের তারিখ : Jan 3, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন: ad728

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ প্রতিবেশীরা নানাভাবে হেনস্থা করতে মা ও বোনদের। এতে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। তাদের ক্ষতি হওয়ার ভয় আশঙ্কাই করতেন সব সময়। আর সেই ভয়েই মা এবং চার বোনকে খুন করেছেন আরশাদ নামের এক যুবক।এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ভারতের লখনৌতে। 

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার আরশাদ মা এবং চার বোনকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন ঠিকই, কিন্তু কেন খুন করলেন— সেই রহস্যই কাটছে না। হত্যার পর পরই একটি ভিডিও রেকর্ড করেছিলেন অভিযুক্ত আরশাদ। যেখানে তিনি প্রতিবেশীদের হেনস্তার কথা জানিয়েছেন।

শুধু তাই নয়, তাঁদের দাবি, আরশাদের পরিবারের সঙ্গে কোনো দুর্ব্যবহার করা হয়নি। হেনস্থা করা হয়নি। বরং তাঁরা পাড়ার লোকেদের সঙ্গে কোনো কথা বলতেন না। মেলামেশা করতেন না। 

আর এখান থেকেই খুনের কারণ নিয়ে সন্দেহ বাড়ছে তদন্তকারীদের মনে।

প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি এই খুনের নেপথ্যে অন্য চক্রান্ত রয়েছে আরশাদ এবং তাঁর বাবার? যদিও আরশাদের বাবার এখনো কোনো হদিস পায়নি পুলিশ। তদন্তকারীরা বলছেন, তাঁকে ধরতে পারলে এই খুনের কারণ সম্পর্কে অনেক তথ্যই পাওয়া যাবে। পুলিশের কয়েকটি দল সম্ভল এবং আগরায় পৌঁছেছে আরশাদের বাবার খোঁজে।

তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, মা এবং বোনেদের খুনের জন্য আগরা থেকে ৩০ ডিসেম্বর লখনউয়ের উদ্দেশে রওনা দেন আরশাদ। ওই দিন সন্ধ্যায় লখনউয়ের চারবাগ স্টেশনে নেমে একটি হোটেলে ওঠেন মা, চার বোন এবং বাবাকে সঙ্গে নিয়ে। হোটেলের ১০৯ নম্বর ঘর বুক করেন। ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় চারবাগের আশপাশ ঘুরে দেখেন সকলে মিলে। রাতে বাইরে থেকে খাবার আনেন আরশাদ। মা এবং চার বোনের খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন। সেই খাবার খেয়ে গভীর ঘুমে চলে যান পাঁচ জনই। কিন্তু আরশাদ এবং তাঁর বাবা সারা রাত জেগে ছিলেন। ঘরের ভিতরে পায়চারি করছিলেন। হোটেলের ম্যানেজারের দাবি, রাত ১১টা নাগাদ বাইরে বার হন দু’জনে। গেট বন্ধ করে দেওয়া হবে জানানোয় তাঁরা আবার হোটেলের ঘরে চলে যান। ১ জানুয়ারি ভোর ৪টা নাগাদ আবার আরশাদ এবং তাঁর বাবা চা খাওয়ার নাম করে হোটেলের বাইরে যান। সকাল ৭টার সময় পুলিশ এসে হোটেল থেকে পাঁচ জনের মরদেহ উদ্ধার করে।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, খাবার খেয়ে মা এবং চার বোন ঘুমিয়ে পড়তেই প্রথমে চার বোনের হাতের শিরা কেটে দেন। তার পর ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে মারেন। কিন্তু তাঁর মায়ের হাতের শিরা কাটেননি। শুধু শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন।